ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার আসার পর থেকে একের পর এক অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। অপকর্মের মাধ্যমে বিশৃংখলা তৈরী করে ক্ষমতা প্রসস্থ করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। গুম-খুন, হত্যা, হামলা-মামলা, নির্যাতন যেন দৈনিক রুটিন হয়ে গেছে। আইন-আদালত সবকিছুই সরকারের ইশারায় চলে। জনগনের বিচার চাওয়ার অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। আইন শৃংখলা বাহিনীর উদাসীনতা, বিচারহীনতা ইত্যাদি কারনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে উঠে জনগনের মত প্রকাশের শেষ ভরসা। জনগনের সে আস্থার জায়গাটুকুও নষ্ট করার লক্ষ্যে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রনয়ন করে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সরকার নিজেদের ক্ষমতা টিকে থাকার নিরাপত্তা জোরদার করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে জনগনের মত প্রকাশের শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার জনগন থেকে এতই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে যে, তাদের কে এই রকম একটি সমালোচিত আইন তৈরী করতে হলো। বাংলাদেশ সরকার প্রধান, এমপি-মন্ত্রী, আওয়ামী নেতাদের কটুক্তি করার কারনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৪৬% মামলা হয়েছে। সরকারের সমালোচনা করা যাবে না, এটাকে নব্য বাকশালও বলা যায়।
২০২০ সালের মে মাসে করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত দূর্নীতি নিয়ে সমালোচনা করায় কার্টুনিষ্ট আহমেদ কবীর কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদ কে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়। আটক অবস্থায় জেল হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন। সম্প্রতি সিজিএস এর আয়োজিত এক সেমিনারে বলা হয়, ভীতির পরিবেশ তৈরী করাই ছিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে এমন এক ব্যবস্থা তৈরী করা হয়েছে, যেন জনগন সব সময়ে আতংকে থাকে। জনগন থেকে যেন কোন প্রতিবাদ বা সরকারের সমালোচনা না করা হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পূর্ণ গনতন্ত্র পরিপন্থী। এই আইনের মাধ্যমে মানবাধিকার কর্মী, সমাজকর্মী এবং সাংবাদিকদের কার্যবিধিকে সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই অপ-প্রয়োগের ঝুঁকিতে থাকা এই বাতিল বাঞ্চনীয়।
Nice post