আতঙ্কিতদের ফের গোপন মিটিং
অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতকালের প্রেস কনফারেন্সের পর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মতো পুলিশের মধ্যেও সরকার পরিবর্তনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গোপালী পুলিশ কর্তারা নিজেদের করণীয় ঠিক করতে জরুরী বৈঠকে বসেন। গুলশান-১ পুলিশ কনভেনশন হলে সোমবার রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে পুলিশের আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি অ্যাক্টের অধীনে নিষেধাজ্ঞার ভয়াবহতা এবং কুফল তুলে ধরেন, কারণ তিনি নিজেই এর আওতায় পড়েছেন। অতঃপর আলোচনার পর নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়:

১) আগামী কিছুদিন কোনো অবস্থাতেই পুলিশ মারমুখো অ্যাকশনে যাবে না।

২) যেসব পুলিশ অফিসারের নাম মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকতে পারে, তারা নিজেদের মধ্যে একটি ফান্ড তৈরি করে যৌথভাবে লবিয়িস্ট নিয়োগ করবে।

৩) আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু বিরোধী দলের কোনো প্রার্থী নাই ফলে তেমন রিস্কও নাই। সরকার দলের কোনো প্রার্থীর সমর্থনের প্রয়োজন হলে তা দিতে হবে পর্দার আড়ালে। দেখা সাক্ষাৎ যা দরকার রাতে হবে।

৪) নতুন করে আর রাজনৈতিক মামলা দায়ের করা হবে না। যাতে পুলিশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে আগের মামলাগুলোতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করতে হবে। সদ্য গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের জামিন না বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করবেন আইজিপি।

৫) অধ্যাপক ড. ইউনুসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া, যেখানে বদিউল আলম মজুমদারের সঙ্গে অন্যান্য উপদেষ্টারা থাকবেন। সরকার কোনো অবস্থাতেই যেনো অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি মেনে না নেয়, তার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে দেনদরবার চালাতে হবে।

৬) যুক্তরাষ্ট্রে যাবার আগে সেনাপ্রধান মার্কিনীদের সাথে বৈঠকের আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কোনো আলোচনার পয়েন্ট চাননি। তাই তার সফর সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

৭) পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিএনপির আন্ডাররেটেড নেতাদের তালিকা তৈরি করে তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে এবং আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য তাদের বিএনএফে যোগদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

৮) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য বিরোধীদের সকল সহিংস আন্দোলন পুলিশ কর্তৃক কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে যে কোনো উপায়ে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইজিপি, ৩ জন অতিরিক্ত আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, ডিজি র‌্যাব, ডিবি প্রধান হারুন, গুলশান ও তেজগাঁওয়ের ডিসি/এডিসি, ডিজি (প্রশাসন) কিবরিয়া, পিডি আদর্শগ্রাম প্রকল্প-৩ ফেরদৌস সহ অনেকে।

#ক্ষমতা_লুটপাট